জেনে নিন স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো ও কখন পাবো?

যারা নতুন ভোটার হয়ে স্মার্ট কার্ড পাননি, তারা স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো জেনে নিন। আর পুরাতন ভোটাররা ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের রেটিনা স্ক্যানের বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে স্মার্ট কার্ড পাবেন। সে সম্পর্কে করণীয় সমূহও জানতে পারবেন এই লেখাতে।

বাংলাদেশের গৃহীত স্মার্ট কার্ডের কর্মসূচি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সকল ভোটারদের স্মার্ট কার্ড বিতরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নানা রকম যান্ত্রিক কারণ ও প্রতিবন্ধকতার কারণে বর্তমানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ বন্ধ রয়েছে। 

দেশের সর্বমোট প্রায় ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে, শুধুমাত্র ১ কোটির বেশি মানুষ স্মার্ট কার্ড পেয়েছে। বাকিদের মধ্যে অনেকেই পুরাতন ভোটার হওয়ায় স্মার্ট কার্ড পায়নি। আবার কারো কারো স্মার্ট কার্ড বিতরণের পরও নিজের কার্ডটি হাতে পায়নি।

এক্ষেত্রে পুরাতন ভোটাররা নতুন করে বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। আর নতুন ভোটাররা NID কার্ডের কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে উভয়েরই স্মার্ট কার্ড পেতে কিছুদিন সময় লাগবে। 

তাই স্মার্ট কার্ড কখন পাবো/ পাবেন, পুরাতন ভোটারদের করণীয় কি এবং জরুরী স্মার্ট কার্ড পেতে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এই লেখা থেকে।

স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো?

স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য নতুন ভোটার নিবন্ধনকারীরা তাদের উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করবে। নতুন ভোটার হওয়ার পর স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

তারপর উপজেলা নির্বাচনে অফিস থেকে সেই স্মার্ট কার্ডটি সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু স্মার্ট কার্ড উপজেলা নির্বাচনে অফিসে পৌঁছাতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ Services nidw gov bd | NID কার্ডের সকল সেবা এক ঠিকানায়

তবে যারা পুরাতন ভোটার, অর্থাৎ ২০১৯ সালের আগে ভোটার নিবন্ধন করেছে তাদের জন্য স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়নি। বরং তারা লেমিনেটিং করা আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ব্যবহার করছে।

২০১৯ সালের পর থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হলেও, ২০১৬ সাল থেকেই নতুন ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিস স্ক্যান করা হতো। তাই ২০১৬ সালের পরের যে সকল নিবন্ধনকারীরা স্মার্ট কার্ড পাইনি তারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করলেই হবে। 

যারা ২০১৬ সালের আগে ভোটার হয়েছেন, তারা স্মার্ট আইডি কার্ড পেতে চাইলে পুনরায় বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে। অর্থাৎ উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে ও হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে আসতে হবে।

তারপর সেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে NIDW সার্ভারে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্যগুলো আপনার আইডি কার্ডের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দিবে। তারপর, সরকারিভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় আপনার স্মার্ট কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

উল্লেখযোগ্য যে, কোন একক ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে স্মার্ট কার্ড তৈরি করে প্রদান করা হচ্ছে না। বরং এলাকাভিত্তিক ভোটার হালনাগাদ করে সেই এলাকার সকলের স্মার্ট কার্ড একসাথে বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশে স্মার্ট কার্ড বিতরণ বন্ধ রয়েছে কেন?

বর্তমানে বাংলাদেশের সামগ্রিকভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ বন্ধ রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৯ কোটি ভোটার রয়েছে। তার মধ্যে, শুধুমাত্র প্রায় ১ কোটি ভোটারকে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

কিন্তু সকলের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রকল্প সম্পন্ন করার আগেই কর্মসূচিটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইলেকশন কমিশন। কারণ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি সরকারি কর্মসূচি। এমতাবস্থায়, নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে এটি এখন বন্ধ রয়েছে। 

অন্যদিকে, স্মার্ট কার্ড তৈরির জন্য বাংলাদেশের EC (Election Commission) চুক্তি করেছিল ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে। কিন্তু ফ্রান্সের সেই প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের স্মার্ট কার্ড গুলো সরবরাহ করতে পারেনি। ফলে সার্বিকভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে EC.

সকল বিষয় বিবেচনা করে, ফ্রান্সের সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল করে, বাংলাদেশেই স্মার্ট কার্ড তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড তৈরিতে কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। তাই বর্তমানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ বন্ধ রয়েছে।

আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২ বছরের মধ্যেই দেশের সকল ভোটারদের স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়ে যাবে। তারপর প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে সেগুলো বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম | NIDW Account Registration

স্মার্ট আইডি কার্ড কিভাবে পাবেন | Smart NID Card

স্মার্ট আইডি কার্ড কিভাবে পাবেন, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনি কখন ভোটার নিবন্ধন করেছেন সেই বিষয়ের উপর। এক্ষেত্রে ভোটারদের দুইটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা: 

  • যারা ২০১৬ সালের পূর্বে ভোটার হয়েছে, 
  • এবং যারা ২০১৬ সালের পরে ভোটার হয়েছে।

যারা ২০১৬ সালের পূর্বে ভোটার হয়েছে

২০১৬ সালের আগে বাংলাদেশে কোন প্রকার স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হতো না। বরং সে সময়ের আইডি কার্ড ছিল বর্তমান সময়ে nid অনলাইন কপির মত। 

বর্তমানে আমরা অনলাইন থেকে NID কার্ডের কপি ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে ও লেমিনেটিং করে ব্যবহার করি। এমন একটি প্রিন্টেড কপিই ২০১৬ সালের আগের ভোটাররা স্থায়ীভাবে ব্যবহার করতেন।

তখন ভোটারদের বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে শুধুমাত্র ছবি তোলা হতো। কিন্তু ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান করে বায়োমেট্রিক নেওয়া হতো না। এ সকল তথ্য ছাড়া একটি স্মার্ট কার্ডের পূর্ণতা পাবে না, অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড তৈরি হবে না।

যাই হোক, বর্তমানে অনেক পুরাতন ভোটারদের জরুরি ভিত্তিতে স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজন হয়। এমতাবস্থায় তাদের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

তাই যারা ২০১৬ সালের আগে ভোটার হয়েছে, তারা পুনরায় বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বায়োমেট্রিক জমা দিয়ে আসবেন।

আর, অতি জরুরী প্রয়োজন হলে সরাসরি জাতীয় পরিচয় পত্র অনুবিভাগ, আগারগাঁও, ঢাকা -এর কার্যালয় যোগাযোগ করে আবেদন করবেন। তার নির্ধারিত সময়ের পর Smart NID Card পাবেন।

যারা ২০১৬ সালের পর ভোটার হয়েছে

২০১৬ সালের পর যারা এনআইডি কার্ডের জন্য নিবন্ধন করেছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তবে স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট জটিলতা কিংবা কার্ডের তথ্য ভুল থাকায় অনেকেই এখনো স্মার্ট কার্ড পায়নি।

হয়তোবা আপনার কোন একটি তথ্য পরিপূর্ণ নয়। কিংবা প্রিন্ট করতে সময় লাগছে। তাই কিছুদিন অপেক্ষা করুন। আশা করা যায় আগামী ২ বছরের মধ্যেই, আপনাদের স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন।

স্মার্ট কার্ড কখন পাবেন যাচাই করুন

যখন আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়ে যাবে, তখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়ই তা আপনার হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য আপনার কিছু করতে হবে না। 

কিন্তু যদি আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হওয়ার পরও তা না পেয়ে থাকেন, তাহলে অনলাইনে চেক করে জানতে হবে কার্ডটি কোথায় আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়ে গেলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়।

আপনার কার্ডটিও এখানে পাঠানো হয়েছে কিনা তা জানতে অনলাইনে স্মার্ট কার্ডের বর্তমান অবস্থান চেক করতে হবে। এখানে ২টি উপায় জানতে পারবেন আপনার স্মার্ট কার্ডটি তৈরি হয়েছে কিনা। যথা: 

  • অনলাইনে smart card status চেক করে;
  • 105 নাম্বারে এসএমএস পাঠিয়ে। 

(১) অনলাইনে smart card status জানা

Smart card তৈরি হয়েছে কিনা তা অনলাইনে চেক করতে, প্রথমে services.nidw.gov.bd লিংকে ভিজিট করুন। তারপর আপনার NID নাম্বার/ ভোটার স্লিপ নাম্বার ও জন্ম তারিখ লিখে সাবমিট করুন। 

তারপর স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস অপশনে যদি Complete লেখা দেখেন, তাহলে বুঝবেন আপনার স্মার্ট কার্ডটি তৈরি হয়েছে। তখন স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলেই smart কার্ডটি নিয়ে আসতে পারবেন।

আর যদি স্ট্যাটাস অপশনে Incomplete লেখা দেখেন, তাহলে বুঝবেন আপনার স্মার্ট কার্ডটি এখনো তৈরি হয়নি।

(২) 105 নাম্বারে এসএমএস পাঠিয়ে স্ট্যাটাস জানা

105 নাম্বারে এসএমএস পাঠিয়েও স্মার্ট কার্ডটি হয়েছে কি-না, তা চেক করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এসএমএস ফরম্যাট হবে SC <space> NID <space> ১৭ ডিজিটের NID নাম্বার। তারপর ১০৫ নাম্বারে পাঠিয়ে দিবেন।

আপনার NID নাম্বার ১৩ সংখ্যার হলে NID নাম্বারের শুরুতে জন্ম সালের ৪টি ডিজিট যুক্ত করে নিলেই হবে। যেমন:

  • SC NID 2001*************

অন্যদিকে, যারা এখনো NID নাম্বার পাননি, তারা ভোটার স্লিপ নাম্বার দিয়েও চেক করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এসএমএস ফরম্যাট হবে SC <space> F <space> NIDFN + ফরম নাম্বার <space> D <space> জন্ম তারিখ। যেমন: 

  • SC F NIDFN********** D 02-04-2005

তারপর ১০৫ নাম্বারে সেন্ড করলেই রিপ্লাই মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবে স্মার্ট কার্ডটির স্ট্যাটাস।

আরও পড়ুনঃ ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করনীয় কি? কিভাবে আইডি কার্ড পাবেন

জরুরী স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন হলে করনীয় কি?

জরুরী ভিত্তিতে কারও স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন হলে, সর্বপ্রথম স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। সেখানে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করবেন যে, কেন আপনি Smart NID Card পাননি। সঠিক বিষয়টি জানার পর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

যদি এমন হয় যে, আপনার স্মার্ট কার্ডটি প্রিন্ট হতে সময় লাগছে, তাহলে সরকারিভাবে Smart card বিতরণের আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আর যদি আপনার বায়োমেট্রিক দেওয়া না থাকে, তাহলে নতুন করে ১০ আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ স্ক্যান ও রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচন অফিসে nid সংশোধনের আবেদন করে তথ্য যুক্ত করবেন।

এভাবে আবেদনের পরও স্মার্ট কার্ড পেতে সরকারি হালনাগাদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তার আগেই যদি অতিজরুরী ভিত্তিতে চায় আপনার স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন হয়, তাহলে সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন।

আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষর পরিবর্তন করুন

স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হলো ভোটার আইডি কার্ড। বর্তমানে সেই আইডি কার্ডের ডিজিটাল ভার্সন হিসেবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি চালু রয়েছে। 

ভোটার আইডি কার্ড আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি স্মার্ট কার্ড আরো বেশি সুবিধাজনক ও গুরুত্বপূর্ণ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের অনেক প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ইন্টারনেট ভিত্তিক হয়ে ওঠায়, এই স্মার্ট কার্ডের ব্যবহার আবশ্যক হয়ে উঠছে। 

ভোট দেওয়া, মোবাইল সিম ক্রয় করা, ট্রেন বা বিমানের টিকেট কাটা, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের আগে পরিচয় নিশ্চিত করা ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলো ডিজিটালাইজড হয়ে উঠছে। এর ফলে হাতে-কলমে আমরা যতটা সেবা ভোগ করতে পারবো। তার থেকে কয়েক গুণ দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সেবা পাবো।

এছাড়াও স্মার্ট কার্ডের মাইক্রো চিপটিতে আইডি কার্ডধারী ব্যক্তির ৩২টি বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকে। ফলে এটি বাড়তি তথ্য নিরাপত্তা প্রদান করবে।

আরও পড়ুনঃ ছবি তোলার কতদিন পর এনআইডি কার্ড পাওয়া যায়?

যাই হোক, এখনো পর্যন্ত স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশে তেমন আবশ্যক হয়ে উঠেনি। তবে অদূর ভবিষ্যতে সামগ্রিক কার্যক্রমে এই কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম হতে পারে।

FAQ’s

স্মার্ট আইডি কার্ড পেতে কি কি লাগবে? 

নতুন স্মার্ট কার্ড পেতে ভোটার আবেদনের স্লিপ সাথে নিতে হবে। ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে এনআইডি নাম্বার বলতে পারলেও হবে। 

স্মার্ট আইডি কার্ড কিভাবে পাবো?

প্রকৃতপক্ষে স্মার্ট আইডি কার্ড পেতে আমাদের ব্যক্তিগত কোন করনীয় নেই। বরং এটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সরকারি দায়িত্বে আমাদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন তা সরকারিভাবেই গ্রহণ করা হবে।

নতুন ভোটার হয়েছেন কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাননি, তাহলে কি করবেন?

নতুন ভোটার হলে, আপনার স্মার্ট কার্ডটি হয়েছে কিনা তা অনলাইনে চেক করুন। স্মার্ট কার্ড হয়ে থাকলে উপজেলা নির্বাচনে অফিস থেকে সংগ্রহ করবেন। অন্যথায়, সরকারিভাবে বিতরণের জন্য অপেক্ষা করবেন।

স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময়সূচী ২০২৪ কখন?

বর্তমানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশের সকল স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়ে গেলে আগামী ২ বছরের মধ্যেই সকলের কার্ড বিতরণ করা হবে।

শেষকথা

উপরোক্ত আলোচনায় স্মার্ট কার্ড কখন পাবো/ পাবেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনার স্মার্ট কার্ড টি তৈরি হয়েছে কি-না, তা Smart Card Status চেক করে জেনে নিতে পারবেন।

আর যারা বর্তমান সময়ে নতুন ভোটার হচ্ছেন, তারা আপাতত smart card পাবেন না। বরং আইডি কার্ডের কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে, প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে ব্যবহার করতে পারবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *