এনআইডি কার্ড সম্পর্কিত জালিয়াতি বন্ধে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের নির্দেশ
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যভিত্তিক নানান জালিয়াতি প্রতিরোধ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদেরকে NIDW সার্ভার সিস্টেমের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত জালিয়াতি প্রতিরোধ করতে এবং তথ্য ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা করতেই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশের প্রতিটি মানুষের আইডি কার্ডের তথ্য যেই সার্ভারে লিপিবদ্ধ থাকে, সেখানে সরাসরি এক্সেস করতে পারে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তাই তাদের নিজেদের আইডি পাসওয়ার্ড যদি অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে বা জেনে যায়, তাহলে এনআইডি সিস্টেমের যাবতীয় তথ্য খুব সহজেই হ্যাক করে নিতে পারবে।
মূলত গত বছর বাংলাদেশের এন আইডি কার্ড সম্পর্কিত সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য ফাস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা ঝুকির বিষয়ে প্রচারনা হয়েছে। তার পর থেকেই ইলেকশন কমিশন নিজেদের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে। আর এবিষয়ে এন আইডি সার্ভারের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তাই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সিস্টেম গুলোর লগইন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসার, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার/ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সংশ্লিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রতি ১ মাসের ব্যবধানে পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। এতে করে সকল নাগরিকদের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য নিরাপদ থাকবে।
আরও পড়ুনঃ
এনআইডি কার্ড নিরাপদে রাখতে সাধারন নাগরিকদের করণীয়
বর্তমানে বাংলাদেশের ইলেকশন কমিশনের NIDW সার্ভারে প্রায় ১২ কোটি বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। এসকল তথ্যের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের উপরই কর্তব্য বর্তায় দিলে হবেনা। বরং আমাদেরও কিছুটা সতর্কতার সাথে নিজ নিজ একাউন্ট সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার একাউন্টের জন্য একটি কঠিন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত খেয়াল রাখতে পারেন যে, আপনার একাউন্ট টি ঠিকঠাক আছে কিনা। কারন অনেক সময় আমাদের এন আইডি একাউন্ট হ্যাক করে অন্য কেউ আমাদের আইডি কার্ডের কপি ডাউনলোড করে নানারকম ক্ষতিসাধন করতে পারে। এছাড়াও NIDW সার্ভারে আরও রয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থীদের তথ্য। সেই তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষন করতে না পারলে, পরবর্তীতে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশে সমস্যা হতে পারে। তাই সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।